আগামী ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি উঠেছে সেলিম-আলী প্যানেলের পক্ষ থেকে। ভোটার তালিকায় সেলিম-আলী প্যানেলের কিছু ভোটারের নাম ওঠেনি। আবার প্রায় ৩০০ জনের নাম অতিরিক্ত ওঠানো হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে সোসাইটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে চিঠি দিয়েছে সেলিম-আলী প্যানেল। গত ২৬ আগস্ট আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়ার কাছে চিঠি দিয়ে বলেছেন, সোসাইটির আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্প্রতি প্রকাশিত ভোটার তালিকায় বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি লক্ষ করা গেছে।
চাঁদা প্রদান সত্ত্বেও ভোটার তালিকায় নাম ওঠেনি কয়েকজন সদস্যের। গত ২৫ আগস্ট ঘোষিত ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিকভাবে প্রায় ৩০০ ভোটার বেশি দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া গত ৩০ জুন ভোটার নিবন্ধনের শেষ দিন সভাপতি কর্তৃক চূড়ান্ত ভোটারের যে সংখ্যা জানানো হয়েছিল, যা পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, সেই সংখ্যার চাইতে ভোটার তালিকা প্রণয়নের মধ্যে এত পার্থক্য কীভাবে হলো, তা জানা প্রয়োজন। উল্লিখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা চান তারা। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়সীমা আরও অন্তত দুই সপ্তাহ বাড়ানোরও আবেদন জানান। তারা চান একটি স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা, যা একটি স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক হবে। অতিসত্বর উপরিল্লিখিত বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানায় সেলিম-আলী প্যানেল।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা গত ২৬ আগস্ট চিঠি দিয়েছি। তিন সপ্তাহের বেশি পার হলেও এখন পর্যন্ত সভাপতি চিঠির কোনো উত্তর দেননি। চিঠির কপি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী ও কার্যকরী পরিষদের কাছেও দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউই চিঠির কোনো জবাব দেননি। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা। সোসাইটির কার্যকরী কমিটি ভোটার তালিকা দেবে, সে অনুযায়ী আমরা নির্বাচন সম্পন্ন করব। সোসাইটি আমাদের যে তালিকা দিয়েছে, সেই তালিকা অনুযায়ী আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। আগামী ২৭ অক্টোবর সকল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, সংশোধিত ভোটার তালিকা এখনো আমরা হাতে পাইনি। যতদূর জানি, সোসাইটির পক্ষ থেকে সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত ভোটার তালিকা পেলে সে অনুযায়ী ভোট হবে। তবে কোনো প্যানেলের পক্ষ থেকে যদি ভোটার তালিকায় বেশি ভোটারের নাম অথবা কোনো ভোটারের নাম বাদ পড়ার অভিযোগ থাকে, সেটি সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটি দেখবে। এখানে আমাদের করার কিছু নেই। আমরা আশা করব, একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য আমাদেরকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ভোটার তালিকা দেওয়া হবে।
এদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা সভা-সমাবেশ, পিকনিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন এবং তাদেরকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন।
নির্বাচনের প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন নির্বাচনের অপেক্ষা। কমিশন খুব সহসাই নির্বাচনের বিধিমালা তৈরি করে তা প্রকাশ করবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য চারটি কেন্দ্র ভাড়া করা হয়েছে। একটি কেন্দ্র এখনো ঠিক করা হয়নি। ব্রুকলিন কেন্দ্রটি স্কুলে করা হবে, সে জন্য এটি করতে সময় লাগছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি বলেন, নির্বাচনের বিধিমালা আমরা ঠিক করছি। কয়েক দিনের মধ্যেই তা দিয়ে দেব। আমরা চারটি কেন্দ্র নিশ্চিত করেছি। ব্রুকলিনের কেন্দ্রটি এখনো ঠিক হয়নি। স্কুলে হবে, এ জন্য সময় লাগবে।