জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনকে ঘিরে বাংলাদেশ মিশন ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা দালাল সাংবাদিকদের নিকট হতে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন নিউইয়র্কের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশন কভার করতে বাংলাদেশ থেকে আগত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার এই অভিযোগ করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন রেষ্টুরেন্টে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম। পরিচালনায় করেন সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ক্লাবের অন্যতম উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, সাবেক সভাপতি ডা: ওয়াজিদ এ খান, সাবেক সভাপতি আবু তাহের, অন্যতম সদস্য জয়নাল আবেদীন, সহ সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আবিদুর রহিম, সদস্য এমদাদ চৌধুরী দিপু, বাংলাদেশ থেকে আগত নয়া দিগন্তের প্রতিনিধ আবুল কালাম, কবি ও সাহিত্যিক মোজাম্মেল হক প্রমুখ। শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেন ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রশীদ আহমদ।
আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু বলেন, প্রত্যেক দলীয় সরকারের আমলে আমরা দালাল ও সাংবাদিক দেখতে পাই। এটা পাকিস্থান আমলেও ছিল। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। এতে করে দালাল সাংবাদিকও বেড়ে চলছে সুরাতাং এর নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
ডা: ওয়াজেদ এ খান বলেন, ড: ইউনুস জাতিসংঘ অধিবেশনে আসা হোটেল লবি ও সাংবাদিক প্রেস ব্রিফিং এ ‘মামাস পার্টি’ (জয় মামার) লোকেরাই বেশী ছিল। গত ১৫ বছর যেসব ব্যবসায়ীরা জয়কে অর্থ দিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতো তারাই আবার সেখানে আনাগোনা। এসব কিছু দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
আবু তাহের বলেন, গণতন্ত্রের তখনই বেঘাত ঘটে যখন আমরা দেখি তেল মারামারী হচ্ছে। দেশে যখনই কোন নতুন সরকার আসলেই আমরা তেল মারা শুরু হয়। এবার সাধারণ অধিবেশনে আসা প্রেস সচিবকে তেল মারা আমাদের চোখে পড়ে। এ সব তেল মারা সাংবাদিকতা থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।
আবুল কালাম বলেন, দেশের অভ্যন্তরীন অবস্থা খুবই খারাপ। ছাত্ররা যে পেশীজমকে বিতারিত করছে তারাই আবার দেশ পরিচালনা করছে। দেশে রাস্তাঘাটে পুলিশ প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। সব ডিপার্টমেন্ট নিজের মতো করে ছলছে। ছাত্রদের যে প্রত্যাশা ছিল তা এখনও পুরণ হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গ্র্যান্ড হায়াত হোটলে প্রধান উপদেষ্টার ডিপুটি প্রেস সচিবের সাথে বিশ্বজিৎ সাহা আর আনাগোনা দেখে নিউইয়র্কের সাংবাদিকতা বিচলিত হয়েছে। বিশ্বজিৎ ও লাবলু আনসারকে মিশনে দেখতে চাই না। জাতিসংঘ মিশন ও কনস্যুলেট সাংবাদিকদের নতুন তালিকা করে অনেক প্রকৃত সাংবাদিককে ডুকতে দেয়া দেওয়া হয়নি এবং তাদের থেকে সিট বাণিজ্য করেছে এমন তথ্য আমাদেরকে নিকট রয়েছে। মিশন ও কনস্যুলেটে সিট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত সাংবাদিক মো: তানভীর রহমান, আব্দুল্লাহ তুহিন, সাখাওয়াত কাউসার, মোহাম্মদ শামীম এছাড়াও উপস্থিত বিশিষ্ট মধ্যে ক্লাবে উপদেষ্টা মঈনুদ্দীন নাসের, মাহমুদ খান তাসের, এবিএম সালেহ উদ্দিন, রিমন ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক সাঈদ তারেক, ক্লাবেক দপ্তর সম্পাদক মাহথীর খান ফারুকী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, কার্যকরী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য জামিল আনসারী, মোহাম্মদ সোহেল, চয়ন রহমান, আবু সায়েম, আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট খন্দকার ফরহাদ ও কিউ জামান।