প্রবাসের অন্যতম বড় আঞ্চলিক চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনের বাকী আর মাত্র ১০ দিন। নির্বাচনের দিন যত কমে আসছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারী জমে উঠেছে। এর ফলে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে চট্টগ্রামবাসী অধ্যুষিত নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকা সরগরম থাকছে প্রার্থী ও ভোটারদের পদচারণায়। প্রার্থীরা প্রতিদিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারেও যাচ্ছেন। চলছে সভা-সমাবেশও।
এখানে উল্লেখ্য, আগামী ১৯ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে দুটি প্যানেল, যথাক্রমে মাকসুদ-মাসুদ এবং তাহের-আরিফ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উভয় প্যানেলই ভোটারদের কাছে পরিচিত। এ কারণে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী উভয় প্যানেলই। নির্বাচন কমিশনও প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠানে। ইতিমধ্যে ভোটিং ম্যাশিন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮৯৪ জন। সাধারণ ভোটার ২ হাজার ৬৬৩ জন এবং লাইফ মেম্বার ২৩৩ জন।
নির্বাচিত হলে দ্বিধা-বিভক্তি কাটিয়ে চট্টগ্রাম সমিতিকে আরো ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে মাকসুদ-মাসুদ পানেল। এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাকসুদ এইচ. চৌধুরী বলেন, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু সেটা যাতে প্রতিহিংসায় পরিণত না হয়। নির্বাচনে হারজিত আছে। আমি হারি কিংবা জিতি, চট্টগ্রাম সমিতিতে ছিলাম, আছি থাকব। চট্টগ্রাম সমিতি আমাদের প্রাণের সংগঠন। উত্তর আমেরিকায় বেশিরভাগ সংগঠন নিউইয়র্কভিত্তিক হলেও চট্টগ্রাম সমিতি কানাডা থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিস্তৃত।
একই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে তাহের-আরিফ প্যানেল। এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আবু তাহের বলেন, চট্টগ্রাম সমিতিকে অধিক কার্যকর সংগঠনে পরিণত করবো। চট্টগ্রামবাসীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিক হবে আমাদের প্রাণপ্রিয় এই সংগঠন।
মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের পরিচিতি সভা : চট্টগ্রাম আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বী প্যানেল মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের পরিচিতি সভা গত ৬ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ওজন পার্কের আবদুল্লাহ ব্যাঙ্কুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সমাজ সেবক, রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ জাফর আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আহসান হাবিবের পরিচালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও চট্টগ্রাম সমিতির ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান সিরাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি, সিপিএ সরওয়ার চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শফিউল আলম, মিরসরাই সমিতির উপদেষ্টা সেলিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহবুবর রহমান বাদল, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দীন, সাধন কর, মিরসরাই সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিফুর রহমান, মিরসরাই সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম মিল্টন, মিরসরাই সমিতি ইউএসএ’র উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দীন, জয়নাল আবেদিন জাহাঙ্গীর, সাতকানিয়া সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম, আনোয়ারা বারখাইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শাহাজাহৈন চৌধুরী, চট্রগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল হাই জিয়ার সহোদর আবু মুছা, মিরসরাই সমিতির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন ভুঁইয়া, আজীবন সদস্য নাছির উদ্দীন নাদের, কক্সবাজারের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ মন্নান, আবদুল হামিদ, আনোয়ার চৌধুরী, এড আবু তাহের আবদুল হালিম, মহিউদ্দীন, মোহাম্মদ মিল্লাত, লুলু বডুয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিপুল চট্টগ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের প্রার্থীদের পরিচিত করিয়ে দেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহবুবর রহমান বাদল। প্রার্থীদের নাম ডাকার সাথে সাথেই সাথে প্রার্থীরা সংক্ষিপ্তভাবে নিজ নিজ পরিচিতি তুলে ধরেন। সভায় অথিতিবৃন্দ ছাড়াও সভাপতি পদপ্রার্থী মাকসুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুদ সিরাজী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী মুকতাদির বিল্লাহ ও সহ-সভাপতি প্রার্থী মওলানা আইয়ুব আনসারী বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা চট্রগ্রাম সমিতির দীর্ঘ দিনের অনিয়ম তুলে ধরে বলেন, এবারের নির্বাচনে যোগ্য, মেধা ও অভিজ্ঞ তরুণ প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে হবে। অন্যতায় চট্টগ্রাম সমিতি অতীতের মতো পুনরায় গর্তে পরে যেতে পারে। সংগঠনকে সাংগঠনিক নিয়ে চালাতে হলে আগামী দিনে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের বিকল্প নেই। তারা আরো বলেন, নোংরামি করে সংগঠনের উন্নয়ন কিংবা মানুষের কল্যাণ করা যায় না। এজন্য দরকার সততা নিষ্ঠা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। মাকসুদ মাসুদ পরিষদের সকল প্রার্থীরা অদম্য সাহস ও দক্ষতা নিয়ে চট্টগ্রাম সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
পেনসেলভেনিয়াতে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের পরিচিতি সভা : পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া, আপারডারবি, মেলবর্ন সিটিতে কয়েক হাজার চট্টগ্রামবাসীর বসবাস। ফিলাডেলফিয়া এবং মেলবর্ন শহরের মাঝামাঝি অবস্থিত আপারডারবি শহরের বহুল পরিচিত আল-শাফা পিৎজা ও গ্রিল রেস্টুরেন্টে গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আসন্ন চট্রগ্রাম সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের প্রার্থীদের পরিচিতি সভা।
পেলসিলভেনিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক চট্টগ্রামের কৃতিসন্তান মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া সওদাগরের সভাপতিত্বে এবং চট্রগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি আহসান হাবীবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের গর্ব মেলবর্ন শহরের নির্বাচিত মেয়র, মুলধারার রাজনীতিবিদ মাহবুবুল আলম তৈয়ব, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে যুক্তরাস্ট্রের মাদার সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য, চট্টগ্রাম সমিতির বোর্ড অব ট্রাস্টির সাবেক কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সিরাজী, বাংলাদেশি কমিউনিটি অব পেনসিলভেনিয়ার সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পেনসিলভেনিয়ার সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মঈন উদ্দীন মঈনুল), মেলবর্ন শহরের সাবেক নির্বাচিত কাউন্সিল মেম্বার ফেরদাউস ইসলাম, বাংলা নিউজের সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের প্রতিনিধি, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কৃতি ছাত্র বিশিষ্ট সমাজ সেবক শেখ খোরশান। চট্টগ্রাম সমিতির সিনিয়র আজীবন সদস্য, সাবেক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শফিউল আলম, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক উপদেষ্টা ও মাকসুদ- মাসুদ পরিষদের পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো জসিম উদ্দীন এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও স্থানীয় অনেক তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য চট্রগ্রাম সমিতির সাবেক কর্মকর্তা মো. বখতিয়ার, সঙ্গীতশিল্পী জলি দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুস সাত্তার (শুক্কুর), মোহাম্মদ উদ্দীন, মোহাম্মদ ইসমাইল, রাজনীতিবিদ মো. সেলিম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ আজাদ, মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, মনসুর আলম, আবু খালেক সেলিম, মো এহসান চৌধুরী, হিমাদ্রী হিমু, মোহাম্মদ সেলিম, স্বপন দাস, মোহাম্মদ ইসহাক, নুরুল আবছার, এম নাছির উদ্দীন, মোহাম্মদ ফজলুল করীম, এহসান খান, আবদুল হামিদ, আবদুল হালিম, শফি সিকদার, মুহাম্মদ দিদার ও আবু তাহের প্রমুখ!
প্রার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভাপতি পদপ্রাথী মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মাসুদ হোসেন সিরাজী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী মুকতাদির বিল্লাহ, সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী আইয়ুব আনসারী, যুগ্ম সম্পাদক পদপ্রার্থী ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী সুমন উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ ফরহাদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী সুশান্ত দত্ত, সমাজ কল্যান সম্পাদক পদপ্রার্থী আকতারুল আজম, সহ-দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ জে আবেদীন আতিক, সদস্য পদপ্রার্থী শাহ আলম ও মো শওকত আলী।
জ্যামাইকায় ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের পরিচিতি সভা : চট্টগ্রাম সমিতির আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের এক পরিচিতি সভা জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় চট্টগ্রাম সমিতিকে প্রবাসের একটি আধুনিক সংগঠনে পরিণত করার পাশাপাশি ‘চট্টগ্রাম কনভেনশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি কানেকটিকাটে আরো একটি ‘কনভেনশন সেন্টার’ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বক্তারা।
জ্যামাইকার ইকরা পার্টি সেন্টারে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের ঢল নামে। সব বয়েসের চট্টগ্রামবাসীদের পদভার আর কোলাহলে অনুষ্ঠানস্থল মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিপুল সংখ্যক পুরুষের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলার উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সভার কার্যক্রম।
সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি আবদুর রহিম সভায় সভাপতিত্ব করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ও অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য তারিকুল হায়দার চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কামাল হোসেন মিঠু।
অনুষ্ঠানে ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত চট্টগ্রামবাসী তুমুল করতালির মাধ্যমে ‘তাহের আরিফ’ পরিষদের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সভার বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সভাপতি এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সাবেক সভাপতি সারওয়ার জামান সিপিএ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং উপদেষ্টা আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মূলধারার রাজনীতিক ও সমিতির আজীবন সদস্য খোরশেদ খন্দকার, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান (সাবেক) রাশেদুল আলম, সাবেক ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ রফিক আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক আফতাব মান্নান, আজীবন সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মিরেরশ্বরাই সমিতির সাবেক সভাপতি জিএম ফারুক, সমিতির আজীবন সদস্য ও অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য আবুল কাশেম (চট্টল কাশেম), চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনে ইউএসএ’র সভাপতি অধ্যাপক সোলায়মান, ব্যাংকার ফজলুল কাদের চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, নুর মোহাম্মদ সওদাগর, মিরসরাই সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মেজবা আহমেদ, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ চৌধুরী, আজীবন সদস্য শওকত হোসেন, আবদুল করিম, মোহাম্মদ ঈসা, অজয় বড়ুয়া, মুরাদুল আলম, আক্তার হোসেন, কালাম চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া সভায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য মোহাম্মদ আমিন, মীরসরাই সমিতির উপদেষ্টা আবু তাহের, জাকির হোসেন, আবু তাহের, নুরুল কবির ননা মিয়া, ইলিয়াছ, আরিফ হোসেন আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, চট্টগ্রাম সমিতির আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত চট্টগ্রাম প্রবাসীদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনে তাহের-আরিফ পরিষদের বিভিন্ন প্রার্থীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, কয়েক দফায় বিভিন্ন মিলাদ মাহফিল ও পরিচিতি সভার আয়োজন করেছেন।
তাহের-আরিফ পরিষদে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আবু তাহের দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম সমিতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি নিউইয়র্ক সিটির একজন সফল ব্যবসায়ী এবং তিন সন্তানের পিতা। তাহের এর বড় পুত্র নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে প্রি-মেডিকেল-এ অধ্যরনরত। দ্বিতীয় পুত্র নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় স্টাইভেসান্ট হাইস্কুল-এর ছাত্র। আবু তাহের-এর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ইসলামিক স্কুলে শিক্ষাগ্রহণ করছেন।
চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বাণিজ্য বিভাগে বি. কম. এবং এম. কম. শেষ করে আমেরিকায় আসার পর একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান আরিফের আত্মীয়স্বজন ব্যবসা করার পাশাপাশি নিউইয়র্ক-এর বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে চাকরি করছেন। চৌকষ, বুদ্ধি দীপ্ত, সদা বিনয়ী আরিফ কমিউনিটির বিভিন্ন গঠন ও সেবামূলক কাজ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, দাফন-কাফনসহ সব ধরনের সাহায্য দানে বিনা স্বার্থে দীর্ঘ দিন ধরে অগ্রণি ভূমিকা পালন করে আসছেন। আরিফের বড় কন্যা স্টাইভ্যোন্ট স্কুলে এবং ছোট কন্যা আল নূর একাডেমিতে অধ্যায়নরত। আরিফ-এর সহধর্মিনী ব্রুকলিনের মাইমোনাইডাস এ মেডিকেল সেন্টার এ কর্মরত।
তাহের-আরিফ পরিষদে এডুকেশন অ্যান্ড কালচারারল সেক্রেটারি পদে নিউজার্সি থেকে সংস্কৃতি অঙ্গনের পরিচিত মুখ এনাম চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এনাম চৌধুরীকে বাংলাদেশ ও উত্তর আমেরিকার অনেক প্রসিদ্ধ শিল্পীরা ইতিমধ্যেই সমর্থন দান করেছেন।
নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সির পাশাপাশি কানেটিকাট থেকে এবং কয়েকজন প্রার্থী এবারের চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন-এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে তাহের-আরিফ পরিষদে সহ-সভাপতি পদে ব্রিজপোর্ট থেকে ফরিদ আহমেদ চৌধুরী তারেক এবং স্ট্যামফোর্ড থেকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জাবের শফি নির্বাচন করছেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশান-এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্টসহ চট্টগ্রামের অনেক নবীন ও প্রবীণ নেতা রা সকলেই তাহের আরিফ পরিষদ কে সমর্থন দিচ্ছেন।
শুধুমাত্র কথার ফুলঝুড়িতে চট্টগ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করা নয়, বরঞ্চ যেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব, তেমনি কিছু বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিম্নোক্ত নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে তাহের-আরিফ পরিষদ। তাদের ইশতেহার রয়েছে- ঐক্য এবং সম্প্রীতির লক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবা এবং সচেতনতা মূলক কর্মসূচির ব্যবস্থা করা, প্রবাসে চট্টগ্রামের ভাষা, সংস্কৃতি, রীতি নীতি সহ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা, চট্টগ্রাম সমিতিকে দুর্নীতিমুক্ত করে জবাবদিহিতা মূলক নের্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা, চট্টগ্রাম সমিতির যাবতীয় ট্যাক্স এবং অ্যাকাউন্টিং সংক্রান্ত নথিপত্রের যথাযথ ব্যবস্থাপনাপূর্বক প্রতি চার মাস অন্তর চট্টগ্রাম সমিতির আর্থিক হিসাব-নিকাষ প্রকাশ, চট্টগ্রাম সমিতি কর্তৃক প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির অধিকার সংরক্ষণের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও ত্রাণ সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্থদের যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জব সেমিনার, ট্যাক্স ও ইমিগ্রেশন সেমিনার, স্বল্প মূল্যে ট্যাক্স ফাইলিং করা, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ, কলেজ এ ভর্তি, ক্রেডিট গঠন ও নতুন বাড়ি কেনার বিষয়ে সঠিক তথ্য যাচাই বাছাই, হেলথ ইন্সুরেন্স, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সেবা মূলক কর্মসূচির আয়োজন করা, চট্টগ্রাম সমিতির নারী সদস্যদের ক্ষমতায়নের জন্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, শিশু ও যুবসমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমেরিকার মূল ধারার স্কুল কলেজের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, বুলিয়িং প্রিভেনশন, হোমওয়ার্ক হেল্প, সহ বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক হিসেবে সুস্পষ্ট পরিচয় ও চরিত্র গঠনে নতুন প্রজন্মকে সহায়তা প্রদান করা এবং চট্টগ্রাম সমিতির সদস্যদের বিনামূল্যে কবরের ব্যবস্থা করা ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্যে সৎকারের ব্যবস্থা।