যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘আমব্রেলা’ সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২০২৫) নির্বাচন আগামী ২৭ অক্টোবর রোববার। এবারের নির্বাচনে মোট সদস্য হচ্ছে প্রায় ১৯ হাজার। এরমধ্যে আজীবন সদস্য ৮৫৩জন। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচনে ‘রুহুল-জাহিদ’ ও ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই দুই প্যানেল থেকে সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৩৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচন ঘিরে ভোট প্রার্থনায় প্যানেল দুটির প্রার্থীরা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, করছেন সভা-সমাবেশ, চলছে শেষ মূহুর্তের প্রচারণা। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে নানাভাবে প্রচারণা। বলা যায় সোসাইটির নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ইসি জানিয়েছে এবারও সিটির ৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে এবং মেশিনে ভোট নেয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে কমিউনিটিতে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। জ্যামাইকা থেকে ম্যানহাটান আর ব্রুকলীন থেকে ব্রঙ্কস মাঝে ওজনপার্ক, জ্যাকসন হাইটস, এস্টোরিয়া, ব্রঙ্কস প্রভৃতি এলাকায় দিন-রাত ছলছে উভয় প্যানেলের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। তবে সন্ধ্যাপর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত জমে উঠছে নির্বাচনী সভা, বৈঠক। পাশাপাশি চলছে রং বে রং-এর পোস্টারিং আর স্ট্রীট জনসংযোগ। চলছে সর্বশেষ সভা-সমাবেশ। কোথাও কোথাও নির্বাচনী সমাবেশ ‘জনসভায়’ রূপ নিচ্ছে।
গত ১৯ অক্টোবর, শনিবার সন্ধ্যায় ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেল ব্রুকলীনের রাজপথে প্যান্ডেল তৈরী করে দেশীয় স্টাইলে সোসাইটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘নির্বাচনী জনসভা’ করেছে। যা অনেকেরই দৃষ্টি কেড়েছে। শীতের ঠান্ডা উপক্ষো করে এতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর অংশগ্রহণ ছিলো লক্ষণীয়।
নির্বাচন বিষয়ে প্রধান জামাল আহমেদ জনি ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান, ৫টি ভোট কেন্দ্রে এবারের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। কুইন্সে একাধিক ভোট কেন্দ্র ছাড়াও ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস আর ওজনপার্কে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, অতীতের মতো এবারের নির্বাচনও ‘ফ্রি এন্ড ফেয়ার’ হবে। এজন্য কমিশন সকল প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। চলছে পুলিং কর্মকর্তা নিয়োগ সহ অন্যান্য প্রস্তুতি। সবমিলিয়ে বলতে পারি সকল প্রস্তুতি-ই সম্পন্ন। উল্লেখ্য, ৭ সদস্যের কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- আব্দুল হাকিম মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান বাদল ও আহবাব চৌধুরী খোকন।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে সোসাইটির ভোটার ছিলেন ২৭ হাজার ৫৫০জন। অতীতের মতো এবারের নির্বাচনেও বৃহত্তর সিলেটবাসী ও নোয়াখালীবাসী ছাড়াও চাঁদপুরবাসী, চট্টগ্রামবাসী ও মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরবাসী সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনগুলো নেপথ্যে ভূমিকাও গণ্য হচ্ছে। ফলে সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে দৃশ্যত বিভক্ত হয়ে পড়েছে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে চলছে পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ, বক্তৃতা আর পরষ্পর বিরোধী প্রচারণা।
সোসাইটিতে পরপর দুইবারের নির্বাচিত বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী ও বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টুর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেল। সোসাইটির বর্তমান সভাপতি ও গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মিয়া সহ সোসাইটির বর্তমান, সাবেক কর্মকর্তা ও নতুন মুখ নিয়ে গঠন করা হয়েছে ‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেল।
‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেল
‘রুহুল-জাহিদ’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন : সভাপতি- রুহুল আমিন সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ সভাপতি- ফারুক চৌধুরী, সহ সভাপতি- আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- জাহিদ মিন্টু, সহ সাধারণ সম্পাদক- সরওয়ার খান বাবু, কোষাধ্যক্ষ- মোহাম্মদ নওশেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক- মোহাম্মদ এস সাদী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মনিকা রায় চৌধুরী, সমাজসেবা সম্পাদক- নাদির আহমেদ আইয়ুব, সমাজসেবা সম্পাদক- রোমানা আহমদ, ক্রিড়া সম্পাদক ও আপ্যায়ন সম্পাদক- আলমগীর হোসেন, স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- শাহনাজ হোসেন। কার্যকরি কমিটির সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- মোহাম্মদ রব মিয়া, মোহাম্মদ তাজু মিয়া, এমডি এন ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ডালিম ও সাইফুল ইসলাম। পরিচয় পর্ব শেষে সকল প্রার্থী অতি সংক্ষেপে নিজেদের নাম ও পরিচয় তুলে ধরেন। এই প্যানেলের ট্রাম্প কার্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে তিন নারী প্রার্থীকে। এদের মধ্যে সমাজসেবা সম্পাদক রোমানা আহমদ হচ্ছেন বাংলাদেশ সোসাইটির মরহুম সভাপতি কামাল আহমেদের কন্যা।
নির্বাচন প্রসঙ্গে রুহুল আমীন সিদ্দিকী ও জাহিদ মিন্টু বলেন, সবার সহযোগিতায় ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি ও মূলধারায় অবস্থান সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে জনকল্যাণে পরিক্ষিত সৎ ও নিষ্ঠাবান ‘বাংলাদেশ সোসাইটি ভবন ও কমিউনিটি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠাই আমাদের প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। অপরদিকে বাংলাদেশ সোসাইটি ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম ও সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল। এই প্যানেলেও রয়েছে সোসাইটির বর্তমান, সাবেক কর্মকর্তা ও নতুন মুখ।
‘সেলিম-আলী’ প্যানেল
‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন : সভাপতি- আতাউর রহমান সেলিম, সিনিয়র সহ সভাপতি- মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি- কামরুজজামান কামরুল, সাধারণ সম্পাদক- মোহাম্মদ আলী, সহকারী সাধারণ সম্পাদক- আবুল কালাম ভুইয়া, কোষাধ্যক্ষ- মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমী, সাংগঠনিক সম্পাদক- ডিউক খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- অনিক রাজ, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক- রিজু মোহাম্মদ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত), সমাজকল্যাণ সম্পাদক- জামিল আনসারী, সাহিত্য সম্পাদক- মোহাম্মদ এ আখতার বাবুল, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক- আশরাফ আলী খান লিটন, স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- হাসান জিলানী এবং কার্যকরী সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ সাদিক, আবুল কাশেম চৌধুরী, মনসুর আহমেদ, আল হারুন, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী ও হাসান খান। নির্বাচন প্রসঙ্গে আতাউর রহমান সেলিম ও মোহাম্মদ আলী বলেন, সোসাইটির নির্বাচনে আমাদের প্রতিশ্রুতি কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ করে মূলধারায় শক্ত অবস্থান প্রতিষ্ঠা, নতুন প্রজন্মের সাথে সোসাইটির সেতু বন্ধন সুদৃঢ় করে গণমুখী, কল্যাণকর ও জবাবহিতামূলক সার্বজনীন সংগঠনে রূপান্তর করা।
রুহুল-জাহিদ পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার
নিউইয়র্ক : রুহুল-জাহিদ পরিষদ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা ও বাংলাদেশ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রকাশ করেছে। গত ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাহিদ মিন্টু এই রূপরেথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা যদি জয়লাভ করি, তাহলে বাংলাদেশ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমরা যদি পরাজিতও হই তাহলেও এই প্রজেক্ট আমরা বাস্তবায়ন করবো যারা জয়ী হবেন তাদের সহযোগিতায়। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা ৫ মিলিয়ন ডলার বাজেট করেছি। আমাদের প্যানেল থেকে আমরা অর্থ দেবো, সোসাইটির ব্যাংক একাউন্টে অর্থ আছে, তা নিয়ে যাত্রা শুরু করবো। আবার অনেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা এবং কম্যুনিটির বিশিষ্টজনদের কাছে যাবো এবং সবার সহযোগিতায় এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান ভবন বিক্রি কোন প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সদস্যরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার হচ্ছে-
১. প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন ‘বাংলাদেশ কমপ্লেক্স’। আমরা শুধু একটি ভবন চাই না, চাই বাংলাদেশ কমপ্লেক্স। যেটা হবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। থাকবে অফিসসহ সার্বক্ষণিক হেল্প ডেক্স, পার্কিং লটসহ কয়েক শত আসনের অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম। ইতিমধ্যেই এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে রুহুল-জাহিদ পরিষদ তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন।
২. অনলাইনে নতুন সদস্য গ্রহণ এবং সদস্য পদ নবায়ণের ব্যবস্থা করা।
৩. প্রবাসীদের দেশে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, কন্স্যুলেটের মাধ্যমে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) প্রদান, নিউইয়র্ক -ঢাকা- নিউইয়র্ক রুটে বাংলাদেশ বিমান চালু, দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সম্পত্তি রক্ষা।
৪. প্রবাসী বাংলাদেশীদের ইমিগ্রেশন সমস্যা ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ সব সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা।
৫. নতুন প্রজন্মের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা। নতুন প্রজন্মকে যদি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করা যায়, তাহলে তাদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবে।
৬. বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইমিগ্রেশন, মাদক এবং মানষিক সমস্যা সক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে নিয়মিত সেমিনারের ব্যবস্থা করা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সভাপতি প্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী, জে মোল্লা সানি, মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ টি মোল্লা, এম বাসেত রহমান, শাহাদাত হোসেন, জাহাঙ্গীর হাসাইন ও বদরুল হক আজাদ।
সেলিম-আলী পরিষদের নির্বাচনী সমাবেশ
নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র আগামী ২৭ অক্টোবরের নির্বাচন সামনে রেখে কুইন্সে বিশাল নির্বাচনী সমাবেশ করেছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘সেলিম-আলী’ পরিষদ। নিউইয়র্ক সিটির গুলশান ট্যারেসে গত ২০ অক্টোবর রোববার রাতে অনুষ্ঠিত প্যানেলটির সর্বশেষ নির্বাচনী সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্যানেলের সকল প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শাহ নেওয়াজের সভাপতিত্বে এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ, পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা আহসান হাবীবের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আজমল হোসেন কুনু।
বিশেষ অতিথি ও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন খান, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের সভাপতি বদরুল হোসেন খান ও সাবেক সভাপতি বদরুন নাহার খান মিতা, রাজনীতিক জিল্লুর রহমান জিল্লু, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক উপদেষ্টা আলী ইমাম শিকদার, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহীম হাওলাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাবেক কর্মকর্তা কাজী আজহারুল ইসলাম মিলন, আকতার হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি ডা. চৌধুরী সারোয়ারুর হাসান, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাবেক সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ছদরুন নূর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মোসাব্বির, রাজনীতিক আব্দুল হাসিব মামুন, শেখ আতিকুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, এবাদ চৌধুরী, কবি-গীতিকার গৌস খান, সাঈদ তারেক, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি মামুন মিয়াজী, ব্রঙ্কস নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব আলম, সাবেক আহ্বায়ক জুনেদ চৌধুরী, ওজনপার্ক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মকবুল রহিম চুনই, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আবু নাসের, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, আহসান হাবিব, শামস উদ্দিন, গহর কিনু চৌধুরী, আমীন মেহদেী বাবু, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, রেজাউল আলম অপু, জাহাঙ্গীর সরকার, ইশতিয়াক রুমী, কাজী আসাদ উল্লাহ, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের কর্মী-সমর্থকরা ছাড়াও কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সমাজ কল্যাণ সম্পাদক প্রার্থী জামিল আনসারী। এছাড়াও পবিত্র গীতা ও বাইবেল থেকেও পাঠ করা হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেন খান। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ বলেন, আমি দীর্ঘ্যদিন কমিউনিটি সেবায় নিয়োজিত। কোন দিন কারো কাছে কিছু চাইনি। কমিউনিটির কাছে এখন আমার একটি মাত্র চাওয়া। তা হচ্ছে সোসাইটির আসন্ন নির্বাচনে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন। এ জন্য সবার সহযোগিতা ও ভোট চাই। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজমল হোসেন কুনু ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের সকল প্রার্থীকে যোগ্য পার্থী হিসেবে উল্লেখ করে তাদের নির্বাচিত করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বক্তারা ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল নির্বাচিত হলে মূলধারায় সহযোগী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা সহ কমিউনিটিকে কাঙ্খিত লক্ষে এগিয়ে নিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সোসাইটিকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে একমাত্র সক্ষম প্যানেল নিষ্ঠাবান, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল। সোসাইটিকে গণ মানুষের সংগঠনে পরিণত করতে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের বিকল্প নেই।
সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের সকল ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ‘সেলিম-আলী’ প্যানেলের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী হবে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল। বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ কার্যকর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবেন এ প্রত্যাশা সকলের। এ প্যানেল নির্বাচিত হলে অনিয়ম-দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ সোসাইটি হবে।