নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে চিঠি

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৫২


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে সংঘটিত ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় পুলিশ, মেয়র ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের স্থানীয় অফিসে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এই চিঠি দিয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে গত রোববার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে একটি মতবিনিময় সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। এ ছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রায় দেড় শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অনুরোধে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মতবিনিময় সভাটি পণ্ড করার উদ্দেশ্যে এবং প্রধান অতিথিকে সরাসরি আক্রমণ করার হিংস্র মনোভাব নিয়ে বিকেল ৫টা থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কনস্যুলেটের সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা বাংলাদেশ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা আগত অতিথিদের ধাওয়া করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে বাধা দেন। তাঁরা আরও নানাবিধ অপকৌশল অবলম্বন করেন। যার অংশ হিসেবে তাঁরা অতিথিদের উদ্দেশে ডিম নিক্ষেপ করেন। অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে কনস্যুলেটের প্রবেশপথের পার্শ্ববর্তী অন্য একটি অফিসের (একই ভবনের) কাচের দরজায় আঘাত করেন। এতে দরজায় ফাটল ধরে। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে বাধা দেয়। কয়েকজনকে আটক করে। দুষ্কৃতকারীদের এই ন্যক্কারজনক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ প্রমাণ হিসেবে ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা এই ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা প্রধান অতিথিকে হেনস্তা ও জীবননাশের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকাসহ কনস্যুলেটের চারদিকে মধ্যরাত পর্যন্ত অবস্থান করেন। তবে পুরো সময় নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি যথাসময়ে কনস্যুলেটে গাড়িযোগে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত পথে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। প্রাণবন্ত মতবিনিময়, অতিথিদের সঙ্গে কুশলবিনিময় ও রাতের খাবার শেষে প্রধান অতিথি কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া নির্ধারিত গাড়িতে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছান। প্রধান অতিথি চলে যাওয়ার পর পুলিশ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে। দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে কনস্যুলেট জেনারেল ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশ, মেয়র ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের স্থানীয় অফিসে পত্র দিয়েছে।