প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কট্টর অভিবাসন নীতির ফলে অ্যামেরিকায় জায়গা হবে না অনেক মেধাবীর। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের টানতে চাইছে দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ।
এর মধ্য দিয়ে দেশীয় শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি মেধাবীদের বাইরে যাওয়া ঠেকাতে চায় দেশগুলো।
অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এইচ-১বি ভিসার নতুন আবেদনকারীদের জন্য বার্ষিক ফি এক লাখ ডলার নির্ধারণ করেন। বিদেশি কর্মী নিয়োগে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ব্যাপকভাবে এ ভিসা ব্যবহার করত।
ট্রাম্পের এক সিদ্ধান্তে বড় ধরনের ধাক্কা খায় ভারত ও চীনের দক্ষ কর্মীদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল খাতটি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অ্যামেরিকায় বৈধ ও অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেন ট্রাম্প। এইচ-১বির প্রবেশাধিকার সীমিত করা ছিল সাময়িক কর্মসংস্থান ভিসার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনে তার প্রশাসনের এ যাবতকালের সর্বোচ্চ চেষ্টা।
যেভাবে ফায়দা নিতে চাইছে দেশগুলো
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ ক্যাং হুন-সিক সোমবার জানান, অ্যামেরিকায় ভিসা নীতিতে পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের আকৃষ্ট করার পথ খুঁজতে তিনি মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেধাবীদের জন্য কিছু ভিসার ফি কমানোর প্রস্তাব নিয়ে ভাবছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য জানায়।
এ বিষয়ে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিংবা ডাউনিং স্ট্রিটের বক্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি রয়টার্স।
এদিকে জার্মানির বিটকম নামের ডিজিটাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বার্নহার্ড রোলেদার জানান, শীর্ষ মেধাবীদের প্রলুব্ধ করতে জার্মানি ও ইউরোপের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে অ্যামেরিকার নতুন নীতি।
তথ্যসূত্র:টিবিএন২৪