অ্যামেরিকায় ১০ বছরের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা কাদের জন্য?

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:২৯

অ্যামেরিকা থেকে একবার বিতাড়নের পর আইন অনুযায়ী দেশটিতে ফের প্রবেশ করতে ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয়। এক দশকের এ নিষেধাজ্ঞা কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সে বিষয়ে অ্যাটর্নি মাহফুজুর রহমানের কাছে জানতে চেয়েছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ। বিদ্যমান আইনের আলোকে প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন অতিথি।

টিবিএন: যেকোনো কারণেই হোক, দুর্ভাগ্যক্রমেই হোক, একবার তাকে ডিপোর্ট করা হলো। তাহলে সে ক্ষেত্রে যদি কেউ একবার ডিপোর্টেড হয়, তো ভবিষ্যতে তিনি কি এই অ্যামেরিকাতে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বৈধ কোনো পথ খোলা আছে তার জন্যে?

মাহফুজুর রহমান: এখানে ডিপোর্টেশনের লটা অ্যাপ্লাই হয় বা বার (নিষেধাজ্ঞা) অ্যাপ্লাই হয়। যদি তাকে ফোর্সফুলি আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) যদি যেমন ডিপোর্ট (বিতাড়ন) করে দেয়, তার উইলের অ্যাগেইনস্টে, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ডিপোর্ট করে দেয়, তার ডিপোর্টেশন অর্ডার আছে অথবা তার কোনো কাগজপত্র নেই, সেই ক্ষেত্রে কিন্তু ১০ বছরের বার থাকবে; অ্যামেরিকায় ১০ বছর প্রবেশ করতে পারবে না। সে লিগ্যাল ওয়েতে হোক, ইলিগ্যাল ওয়েতে হোক, তার অ্যামেরিকায় ঢোকার কোনো বৈধতা নেই, কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে, আবার ১০ বছরের মধ্যে সে অবৈধভাবে আবার প্রবেশ করে…তখন কিন্তু ধরা পড়লে তাকে অ্যাগেইন টোয়েন্টি ইয়ার্স (২০ বছর) বারে ফেলে দেবে।

আর লিগ্যাল ওয়েতে যদি আসতে চায়, তখন তাকে ওয়েভারের আবেদন করতে হবে। ওয়েভার যদি গ্র্যান্ট হয়, তাহলে সে ১০ বছরের বার, সেটা ওভারকাম করা সম্ভব।

টিবিএন: তার মানে আইন যেমন আছে, আইনের প্রয়োগ যেমন আছে, তেমনই আইনের কিছু ব্যত্যয় আছে, যেটা দিয়ে আবার সুযোগটা গ্রহণ করা যেতে পারে। আপনার কাছে একটি প্রশ্ন করছি, যেহেতু সিচুয়েশনটা এ রকম অবস্থায় চলে গেছে। অনেকেই অ্যাসাইলাম বা রিফিউজি আবেদন করে থাকেন। তো এই ধরনের অপারেশন তাদের আবেদনে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে?

মাহফুজুর রহমান: যেটা প্রায় সময় দেখা যায় যে, আমাদের ক্লায়েন্টরা যারা আছে, অফিসের এবং বিভিন্ন মানুষ প্রশ্ন করে যে, আইসের ডেট পড়েছে। আমি যাব কি না। এটাও কিন্তু গেলে তাদের কট করে আবার সেই প্লেইনে বসায়া দিতে পারে, কিন্তু যাদের সঠিকভাবে কেইসগুলো পেন্ডিং আছে, মনে করেন ইউএসসিআইএসে হোক অথবা আপনার ইমিগ্রেশন কোর্টে হোক, যদি পেন্ডিং থাকে, তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

তাদের শুধু রুটিন দেখা করার যে শিডিউল, দেখা করবে। তারা বলে দেবে হয়তোবা নেক্সটে তুমি ছয় মাস/এক বছর পরে আসো, কিন্তু যাদের কোনো কেইস পেন্ডিং নাই, তারা কোনো কেইসের মধ্যে নাই, তাদের জন্য একটু শঙ্কার বিষয় আছে। এখন রিপোর্ট করতে গেলে হয়তো তারা আর সে সুযোগটি দেবে না।

টিবিএন: তার মানে আপনি যেটা বলতে চাচ্ছেন, যারা এখনও আইসের কাস্টডিতে আছে, তাদের ক্ষেত্রে ভয় যাদের আছে, তাদের জন্য পরামর্শ, আপনি যেটা দিলেন যে, কিছুটা হলেও ভয় আছে।

মাহফুজুর রহমান: যাদের মামলা পেন্ডিং আছে সঠিকভাবে, তাদের কোনো ভয় নেই। যাদের মামলা পেন্ডিং নেই, তাদেরকে অবশ্যই তাদের উকিলের সাথে পরামর্শ করে কী করণীয় দেখা করতে গেলে, সেটা তারা পরামর্শ করতে পারে।

তথ্য সূত্র:টিবিএন২৪