চলমান শাটডাউন ও এর প্রভাবে ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-টিএসএর কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব পড়ায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতাদের দায়ী করে এক ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-ডিএইচএস সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম।
ভিডিওবার্তাটি বিভিন্ন স্টেইটের বিমানবন্দরগুলোতে প্রচারের কথা ছিল, তবে নোমের ভিডিওটি রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রচারে অসম্মতি জানিয়েছে নিউ ইয়র্কের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আইউইটনেস নিউজ জানায়, নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জন এফ কেনেডি (জেএফকে), নিউয়ার্ক, ওয়েস্টচেস্টার এবং লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ভিডিওটি সম্প্রচারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
বন্দরগুলোর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালায় রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক বার্তা সম্প্রচারের অনুমতি নেই। তাই ভিডিওটি বিমানবন্দরের কোনো স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হবে না।
ওই ভিডিওতে নোমকে বলতে দেখা যায়, টিএসএর কাছে সবচেয়ে জরুরি তার যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করা, কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসে ফেডারেল সরকারের বরাদ্দ তহবিল প্রত্যাহার করেছেন, যার ফলে পরিবহনের অনেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মীদের বেশির ভাগকে বিনা বেতনে কাজ করতে হচ্ছে।
নোমের এ বার্তার সমালোচনা করেন ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টির নির্বাহী কর্মকর্তা কেন জেনিংস।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য। এখন আমাদের স্থিতিশীলতা আনতে সবার মধ্যে সমন্বয় ঘটানো প্রয়োজন।
‘এমন সময় এ ধরনের ভিডিও সম্প্রচার মূল সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেবে এবং জনগণের বিশ্বাস নষ্ট করবে।’
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল রাজনৈতিক এ ভিডিওবার্তা সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নোম যখন নিউ ইয়র্ক পুলিশের তহবিল বন্ধের কাজে ব্যস্ত থাকেন না, তখন যাত্রীদের মিথ্যা এবং পক্ষপাতমূলক বার্তা শোনানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তবে আমরা শুধু নিউ ইয়র্কে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করার কাজকেই প্রাধান্য দেব।’
নিউ নিয়র্কের বিমানবন্দর ছাড়াও লাস ভেগাস, শার্লট, আটলান্টাসহ বিভিন্ন স্টেইটের বন্দর কর্তৃপক্ষ ভিডিওটি তাদের নীতিমালা-বহির্ভূত বলে জানিয়েছে।